শনিবার, ৯ এপ্রিল, ২০১১

ভালবাসার সময় তো নেই – রুদ্র মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ

ভালবাসার সময় তো নেই
ব্যস্ত ভীষন কাজে,
হাত রেখো না বুকের গাড় ভাজে।
ঘামের জলে ভিজে সাবাড়
করাল রৌদ্দুরে,
কাছএ পাই না, হৃদয়- রোদ দূরে।
কাজের মাঝে দিন কেটে যায়
কাজের কোলাহল
তৃষ্নাকে ছোয় ঘড়ায় তোলা জল।
নদী আমার বয় না পাশে
স্রোতের দেখা নেই,
আটকে রাখে গেরস্থালির লেই।
তোমার দিকে ফিরবো কখন
বন্দী আমার চোখ
পাহারা দেয় খল সামাজিক নখ।

ভালবাসার দিনে ভালবাসার কবিতা

একটু খানি

একটু খানি হাসি দিলে

একটু অভিমানে,

অমনি আমি ছুটে এলাম

ভালবাসার টানে।

একটু খানি কাছে এসে

একটু দিলে আদর,

অমনি তোমায় বিছিয়ে দিলাম

ভালবাসার চাদর।

একটু খানি হাত বাড়িয়ে

ধরলে যেদিন হাতে,

ঘুম কাতুরের ঘুম নিয়েছ

সুখ নিয়েছ সাথে।

ভালবাসার কবিতা

অজস্র উদাহরণ আছে উড়ো ভাবনার, সহস্র রাত-জাগা তারাদের মুখ
তবু আলোর গল্প লেখা হয় আধাঁরের কবিতায়। বুকের শ্বেতপাথরে লেখা
হয় নাম। নিয়তির হাঁস ওড়ে জোনাকীর মত। ক্ষয় হয় চাঁদ-চাঁদ সুখ।
আকাশের মেঘ আঁকে বিজলীর নিপুণ প্রেম-রেখা।

মন কখনও চেয়ে ওঠে গানের অধিকার। সুর তালে বেজে ওঠে
ফুলের সম্ভার। সুবাস কখনো যেন রোদ-তাপা মরুভূমি ছুঁয়ে যায়।
কখনও-বা বৃষ্টি আসে পাতার গন্ধ কাঁটা হয়ে ফোটে।
বাঁধন-ছেঁড়া নদীর স্রোতে সুখ ভাসে নিরালা শেওলায়।


সাঁকো থেকে ঝুঁকে দেখি জেগে আছো কিনা। বুঝে দেখি রেলিংয়ের মর্মকথা
রেখাচিত্রে সহসা আনমনা। দূরের রেললাইনে কু-ঝিক-ঝিক
শব্দ তুলে চলে যায় ট্রেন। প্রেমে আছে চিরদিনের অমরতা
জানি। আজীবন তাই ভালবেসে যাব তোমার চোখের ঝিকমিক।

ভালোবাসার কবিতা

কী ভালো আমার লাগে আমার সকালবেলায়,
হয়তোবা তোমার লজ্জারাঙা ঠোঁটের হাসি; একটু আদর।
নির্মল নীল শাড়ীর একটু ছোয়া, কী অসহ্য সুন্দর
কণ্ঠের অবাধ উন্মুক্ত তান। আমি বারবার মুগ্ধ হই।
দিগন্ত থেকে দিগন্তে; অন্ত থেকে অনন্তের পথে পা বাড়াই।

কী ভালো লাগে আমার তুমি যখন,
চারিদিকের সবুজ পাহাড়ে আঁকাবাঁকা, কুয়াশায় ধোঁয়াটে,
আস্তরণের আড়ালে দাড়িয়ে খিল-খিল হেসে ওঠ।
তোমার সেই উজ্জ্বল অপরূপ মুখ দেখে হয়তোবা আকাশ ,
নীল এই আকাশ- অভিমানে মুখ ফিরায়।

তুমি কি কখনো ভেবেছিলে এই হ্রদের ধারে
রূপোলি জলে শুয়ে-শুয়ে-এঁকে দিবে সোনালী চুম্বন।
সূর্যের চুম্বনে।-নীলের স্রোতে ঝরে পড়ছে অপরূপ ইন্দ্রধণু
তোমার আর আমার ভালোবাসার সাক্ষী তাঁরা।
দুটো প্রজাপতি কতদূর থেকে উড়ে আসছে জলের উপর দিয়ে।
- কী দুঃসাহস! তুমি হেসেছিলে আর আমি তোমার হাসি দেখছিলাম।

কী ভালো লেগেছিল।

যাযাবর ভালবাসা – আহমেদ সালাহউদ্দিন সুপ্রিয়

যেখানে হেঁটে হেঁটে বহুদূরে
হারিয়েছে কনো এক যুবক মাতাল।
বুকে তার ছিলনা কোন প্রেমের বাগান,
আথবা চায়নি সে আধখানা চাঁদ আর কুমারী রাত,
সিনায় সিনায়, রক্তে রক্তে উষ্ণ পরশ।
চেয়েছিল ছোট একচালা ঘর, এক মুঠো ভাত,
চেয়েছিল রোদেলা বিকেল আর আধখানা সিগেরেট,
একটু স্বাধীনতা, নিজেকে নিজের মতো সাজাবার।
যখন আকাশে নামে পূর্নিমা রাত,
পলকে পলকে যায় নির্ঘুম প্রহর,
স্মৃতির পলিতে জমে শিশির হাজার।
বলে দিয়ে যায় তারে,
হলো তো অনেক, কতো আর আবিচার নিজেরই ওপর,
পথ থাকে পথের পরে, তুমি পথচারি।
যতদুরে চলে যাও, নিয়ে যাবে সবই।
বদলাবে পৃথিবী, মানু্ষ, প্রতিদিনই।
বদলাবে কবে তুমি,
আঁকবে কবে ভোর, সোনালী সোপান।
চিৎকার দিয়ে বলে যুবক,
কবিতার কসম, ধ্বংস করে সবকিছু,
গড়ে নিব আবার নিজেরই আবাস,
যতই থাকিনা কেন বহুদুর,
একদিনতো শেষ হবেই দুর পরবাস

ভালবাসার দিনে ভাললাগার মত একটি ভালবাসার কবিতা।

জান বন্ধু, তোমাকে খুব আপন মনে হয় কখনও পর করে দেখিনা। যখন তুমি চলে যাও, যাব কথা বল, তখন আমার বুক থেকে রক্ত ক্ষরিত হয়। আমি আমার ভালবাসার ভাগ কাউকে দিতে চাই না, এটা আমার পরম দাবী শরীর থেকে একটা অংশ বিচ্ছিন্ন হলে যে রকম কষ্ট তুমি চলে গেলে তার চেয়ে বেশী কষ্ট হবে। তোমাকে আমি কতটা ভালবাসি এটা আমার মনের মত করে তোমাকে বেঝাতে পারিনি। কিছুটা অপূর্নতা রয়েগেছে তুমি বুঝে নিও। তবে পৃথিবীর বিনিময়েও যে তোমাকে একান্ত আপন করে চাই এটা সত্য। যেদিন তোমাকে আমি সত্যিকার ভাবে পাব সেদিন আমার মনের মত করে তোমাকে আরও ভলবাসব। আদর সেহাগ আর ভালবাসা দিয়ে তোমাকে তোমার জীবনকে ভরিয়ে দেব। আমিকি তোমর কাছে কিছু আশা করতে পারিনা বন্ধু?। সামান্য কোন ব্যাপার নিয়ে আমার সাথে রাগ কর। আমি খুব কষ্ট পাই বন্ধু। মাঝে মাঝে তোমার সাথে হয়ত কিছু অভিমান হয় তুমি এতে মাইন্ড করনা অতিথী পাখি হয়ে আমার জীবনে এসোনা তা হলে খুব কষ্ট পাব। আমার মত করে আমাকে ভালবাস আমাকে একটু বোঝার চেষ্টা কর। তুমি যত বর হওনা কেন আমি আমার ভালবাসার মূল্য দিয়ে তোমাকে কিনতে চাই। আমি ভুল করবনা সঠিক জিনিসই কিনব।

যতবার তোমাকে

যতবার তোমাকে দেখি ততবার ভরে উঠে
ঐশ্বরিক জ্যোতিতে আমার দু’ নয়ন।
যতবার তোমার হাতখানি ধরি,
ততবার একটি সত্য প্রতিজ্ঞা করি পূরণ।
যতবার তোমাকে আগলে ধরি আমার শীর্ণ বুকে,
ততবার আলিঙ্গন করি নতুন এক জীবন।
যতবার তোমার ওষ্ঠে একে দিই প্রগাঢ় চুম্বন,
ততবার আমি হয়ে যাই সদ্যজাত নিষ্পাপ এক শিশু সন্তান।
যতবার আমি তোমাকে বলি ভালবাসি ভালবাসি,
ততবার শিখি একটি সত্য শব্দ উচ্চারণ।
যতবার আমি তোমাতে করি অবগাহন,
ততবার আমি গ্রহণ করি শুদ্ধ পুনর্জনম।
জোছনা জোয়ারে আলোকিত হয়ে থাক আমাদের মধুর মিলন।

যদি না আসো

কাল যদি তুমি না আসো
আমি তবে ডাকবো ধর্মঘট।
পাশে যদি না বসো
মনে রেখ হরতাল হবে
সব কিছু বন্ধ হয়ে যাবে।
অচল হয়ে যাবে নগরী
সবাই তখন মুখ গুজে ঘুমাবে।
আমায় যদি ভাল না বাসো
করবো আমি অনেশন
তোমার বাড়ির সামনে ।
কথা যদি না বল
অকোজ করে দেব মোবাইল কোম্পানি
ঘুম আর স্বপ্ন
আমার আয়ত্বের বাহিরে থাকবে না ।

ভালোবাসার কবিতা!!!!

" আমার প্রেম আজ হয়ে গেল ঘাস
খেয়ে গেল গরু আর দিয়ে গেল বাঁশ৷"


" ভালোবাসার শেষ ফল
বুকে ব্যাথা চোখে জল"


" ভালোবাসা মহাপাপ
প্রেম করা অভিশাপ"


ভেঙ্গে গেলে প্রথম প্রেম---------------------
সুখী হয় না জীবনে"

আমার এই জীবন মরণ শুধুই তোমার

আমার এই জীবন মরণ শুধুই তোমার
আর কারো নয়
তুমি যে ভালোবাসায় ভরিয়ে দিলে
আমার হৃদয়
তোমারি মনের কাছে শিখে নিলাম আমি
জগতে প্রেম যে হলো সবার চেয়ে দামী
এতোদিন যা পেয়েছি আসল সে নয় নকল প্রণয়
তুমি যে ভালোবাসার ভরিয়ে দিলে আমার হৃদয়
কাগজের ফুলের বাগান অনেক দূরে ফেলে
তুমি যে সত্যিকারের গোলাপ হয়ে এলে
গন্ধেই চিনিয়ে দিলে তোমার প্রাণের সব পরিচয়
তুমি যে ভালোবাসার ভরিয়ে দিলে আমার হৃদয়

নদীর গান

শুনতে পাচ্ছো নদীর গান
বয়, রাতের নিঝুমতায়
অলৌকিক
ওদিকে চাও যদি
আলোক মিছিলে দেখ
রাতের পথনটি
তাৎক্ষনিক

অন্য অবকাশে মহান মানুষ
হয়, নরম সুজানিতে
দার্শনিক
দাওয়ায় পড়ে থাকা
শিরায় গতি পায়
গলিপথের সেই
শৌভনিক

সেসব মুছে যাবে জেনেও
বলে যাও, এসব বৈভব
পৌরানিক
যা দিয়ে কোনদিন
শ্মশান নাথ আর
বানাবেনা বিভুতির
সিনক্রনিক।।

প্রেম পত্র

ই-মেলে তোমার চিঠি
কিছু অক্ষর, কিছু পঙতি বিলাস।
অথচ কাগজে গন্ধ ছুঁয়ে থাকো তুমি
স্পর্শ স্বাদ - নিপুন অনুপান
জ্বর যেন জট খুলে ছোট্ট চডুই।

গনকে তোমার প্রতিক্ষন
কমা, সেমি-কোলন
সবই নতুন শুভঙ্করী।


চিঠি লিখি।
স্বল্প তাপে কলমের ভাবনা নিয়ে
ভাববে যখন
পড়বে আমার পুরোনো চিঠি।


কোনও একদিন
আশেপাশে কেউ নেই
বিরহ যন্ত্রনা -- না থাক
ছট্ট এস এম এস
এই তো এত কাছে তুমি।


ফরসা আকাশ
মেঘেরই বা কি দায়
পিওন হবার।