জীবনানন্দের বনলতা
সেনের মতো নারী ভাবনায় একটা বড় জায়গা দখল করে আছে কল্পনা। নারীর রূপকল্পনায় থাকে রহস্যে ভরা একটা ইনট্টিনসিক ক্যারেক্টার,
এখানেই নারীসত্তার মাদকতা। নারী বললেই বিভূতি ভুষণের লেখায় প্রকৃতির বর্ণনা মনে পড়ে যায়। সজল, শ্যামল, স্নিগ্ধ রূপের সঙ্গে নারীদের এক অদ্ভুত অনুষঙ্গ অনুভূত হয়। নারী আর প্রকৃতি যেন মিলেমিশে একাকার হয়ে
যায়, ঠিক যেন জল রংয়ের ক্যানভাস অথবা রংধুনর কোনো রং।
নারী বলতে মা-বোন, স্ত্রী সব ভাবনা একসঙ্গে হুড়মুড় করে মনে আসে। তার কারণ মনে হয় একটাই। নারী মানেই একটা নিশ্চিন্ত আশ্রয়। যে আশ্রয়ে থাকা যায় চিন্তামুক্ত হয়ে। সে ছোটবেলা থেকেই ধরুন না। জন্মের পরই পরম নিশ্চিন্তে বেড়ে ওঠা মাকে আশ্রয় করেই। ভালো-মন্দ, রাগ-দুঃখ, উচ্ছ্বাস, হতাশা সবকিছুই মাকে ঘিরে। পরিবারে ভাই-বোনেরা একসঙ্গে মিলেমিশে বড় হওয়ার সময় বড় বোনের উপর এক ধরনের নির্ভরতা গড়ে ওঠে। বড় ভাইয়ের ক্ষেত্রে কিন্তু ঠিক তেমনটি হয় না। আর স্ত্রী তো একজন মানুষের জীবনের একটা বড় অংশ দখল করে থাকে। মেয়েদের এই কেয়ারিং অ্যাটিটিউডটা সবার কাছে ভালো লাগে। তাদের যত্ন-মমতা, আগলে রাখা ব্যাপারটা খুব সুন্দর। মেয়েদের এ পরিচালন ক্ষমতা দেখে সবার কাছে মনে হয়_ 'উইমেন আর ভেরি পাওয়ারফুল'। মেয়েদের কোনো খারাপ গুণ আছে এটা ভাবা উচিত নয়। তার মানে এই নয় যে, তাদের মধ্যে খারাপ কোনো শক্তি নেই। মেয়েদের মধ্যেও ভালো মন্দ রয়েছে। আসলে আমরা কি দেখছি, কেমন ভাবে ভাবছি তার ওপরই অনেকটা নির্ভর করে নারী ভাবনা। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে মেয়েদের গুণগুলোই চোখে পড়ে।
বর্তমান প্রেক্ষাপটে মেয়েদের সম্ভ্রম বোধ কিছুটা মনে হয় কমে গেছে। তাদের সবটাই খারাপ এ কথাও ঠিক নয়। তারা যথেষ্ট সাবলীল, সপ্রতিভ, নিজের মতো স্পষ্ট ভাষায় জানাতে পারে। কিন্তু লজ্জাবোধ, মেয়েদের যেটা একান্ত চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য, সেটার একটু কমতি সবখানেই অনুভূত হচ্ছে। বাইরের চেহারা ছাপিয়ে তাদের মনটাকে ছুঁতে ইচ্ছা করে সবসময়। রবীন্দ্রনাথের গান মনে পড়ে_ রূপে তোমায় ভোলাব না। একজন পুরুষের কাছে নারীর আকর্ষণ চিরন্তন। এটি একান্ত স্বাভাবিক। তারা পুরুষের প্রেরণার উৎস। ছোটবেলায় মেয়েদের পরীর মতো ভাবতাম। অভিজ্ঞতার সঙ্গে সঙ্গে ক্রমশ দেখছি তাদেরও লোভ আছে, রাগ আছে, অ্যাগ্রেশন আছে, তারাও চায় ডমিনেট করতে। সর্বক্ষণ একটা মুখোশ পরে থাকা, যা নয় তাই প্রজেক্ট করা, এমন ধরনের মেয়ে কারো কাছেই ভালো লাগে না। প্রায়ই শোনা যায়, সফল পুরুষের পেছনে একজন নারীর ভূমিকা অনস্বীকার্য। ঠিক তেমনি কোনো নারীর কারণেও আবার একজন সফল পুরুষের ক্যারিয়ার বা সংসার ধুলায় মিশে যেতে পারে।
প্রিয় নারী সব সময়ই অলৌকিক। বাস্তব রেখায় সীমিত করতে চাইলেই তো সেই ভালোলাগা ভেঙে যাবে। গুড়িয়ে যাবে তাদের প্রতি শ্রদ্ধা ও মমতা।
নারী বলতে মা-বোন, স্ত্রী সব ভাবনা একসঙ্গে হুড়মুড় করে মনে আসে। তার কারণ মনে হয় একটাই। নারী মানেই একটা নিশ্চিন্ত আশ্রয়। যে আশ্রয়ে থাকা যায় চিন্তামুক্ত হয়ে। সে ছোটবেলা থেকেই ধরুন না। জন্মের পরই পরম নিশ্চিন্তে বেড়ে ওঠা মাকে আশ্রয় করেই। ভালো-মন্দ, রাগ-দুঃখ, উচ্ছ্বাস, হতাশা সবকিছুই মাকে ঘিরে। পরিবারে ভাই-বোনেরা একসঙ্গে মিলেমিশে বড় হওয়ার সময় বড় বোনের উপর এক ধরনের নির্ভরতা গড়ে ওঠে। বড় ভাইয়ের ক্ষেত্রে কিন্তু ঠিক তেমনটি হয় না। আর স্ত্রী তো একজন মানুষের জীবনের একটা বড় অংশ দখল করে থাকে। মেয়েদের এই কেয়ারিং অ্যাটিটিউডটা সবার কাছে ভালো লাগে। তাদের যত্ন-মমতা, আগলে রাখা ব্যাপারটা খুব সুন্দর। মেয়েদের এ পরিচালন ক্ষমতা দেখে সবার কাছে মনে হয়_ 'উইমেন আর ভেরি পাওয়ারফুল'। মেয়েদের কোনো খারাপ গুণ আছে এটা ভাবা উচিত নয়। তার মানে এই নয় যে, তাদের মধ্যে খারাপ কোনো শক্তি নেই। মেয়েদের মধ্যেও ভালো মন্দ রয়েছে। আসলে আমরা কি দেখছি, কেমন ভাবে ভাবছি তার ওপরই অনেকটা নির্ভর করে নারী ভাবনা। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে মেয়েদের গুণগুলোই চোখে পড়ে।
বর্তমান প্রেক্ষাপটে মেয়েদের সম্ভ্রম বোধ কিছুটা মনে হয় কমে গেছে। তাদের সবটাই খারাপ এ কথাও ঠিক নয়। তারা যথেষ্ট সাবলীল, সপ্রতিভ, নিজের মতো স্পষ্ট ভাষায় জানাতে পারে। কিন্তু লজ্জাবোধ, মেয়েদের যেটা একান্ত চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য, সেটার একটু কমতি সবখানেই অনুভূত হচ্ছে। বাইরের চেহারা ছাপিয়ে তাদের মনটাকে ছুঁতে ইচ্ছা করে সবসময়। রবীন্দ্রনাথের গান মনে পড়ে_ রূপে তোমায় ভোলাব না। একজন পুরুষের কাছে নারীর আকর্ষণ চিরন্তন। এটি একান্ত স্বাভাবিক। তারা পুরুষের প্রেরণার উৎস। ছোটবেলায় মেয়েদের পরীর মতো ভাবতাম। অভিজ্ঞতার সঙ্গে সঙ্গে ক্রমশ দেখছি তাদেরও লোভ আছে, রাগ আছে, অ্যাগ্রেশন আছে, তারাও চায় ডমিনেট করতে। সর্বক্ষণ একটা মুখোশ পরে থাকা, যা নয় তাই প্রজেক্ট করা, এমন ধরনের মেয়ে কারো কাছেই ভালো লাগে না। প্রায়ই শোনা যায়, সফল পুরুষের পেছনে একজন নারীর ভূমিকা অনস্বীকার্য। ঠিক তেমনি কোনো নারীর কারণেও আবার একজন সফল পুরুষের ক্যারিয়ার বা সংসার ধুলায় মিশে যেতে পারে।
প্রিয় নারী সব সময়ই অলৌকিক। বাস্তব রেখায় সীমিত করতে চাইলেই তো সেই ভালোলাগা ভেঙে যাবে। গুড়িয়ে যাবে তাদের প্রতি শ্রদ্ধা ও মমতা।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন